নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। স্বপ্ন ছিল প্রথমবারের মতো কিউইদের তাদেরই মাঠে সিরিজ হারাবে টাইগাররা।
কিন্তু বৃষ্টি সেটি হতে দিল না। দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর তৃতীয় ম্যাচও বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ ব্যবধানে শেষ হল।
৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৪৯ রান ছিল নিউজিল্যান্ডের। ১০ ওভার শেষে যা দাঁড়ায় ৫/৬৩। এমন চাপে থাকা কিউইদের কি ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত? নিয়মিত বোলাররা যেখানে ভালো করছেন, তখন নিজে বোলিংয়ে এসে দিয়ে দিলেন ১৪ রান! একটি চার ও ছক্কার বাউন্ডারি মেরেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান জিমি নিশাম।
শান্ত’র হাতে অবশ্য অপশনও ছিল না তেমন, ক্রিজে দুই বাঁ-হাতি ব্যাটারের বিপরীতে অফস্পিনে কেবল শেখ মেহেদীর এক ওভার বাকি ছিল। তাই নিজেই আক্রমণে এসেছিলেন, যাতে হিতে বিপরীতই হলো!
পরের ওভারে অবশ্য স্বাগতিকদের লাগাম টানেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১১তম ওভারে তিনি দেন মাত্র ৩ রান। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়েছেন নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার। বৃষ্টিবিঘ্নিত আগের ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা রিশাদ হোসেন দুই ওভারেই ১৯ রান দিয়ে বসেন। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রান সংগ্রহ করেছিল নিউজিল্যান্ড।
৩২ বলে কিউইদের দরকার ছিল আর মাত্র ১৬ রান। তবে ডিএলএস মেথডে এগিয়েই ছিল কিউইরা। ১৪.৪ ওভারে ৭৮ রান করলেই স্বাগতিকদের জন্য যথেষ্ট ছিল। এর চেয়ে ১৭ রান বেশি করে তারা। ফলে বৃষ্টিতে ম্যাচ আর মাঠে না গড়ানোয় নিউজিল্যান্ডই বৃষ্টি আইনে জিতে গেল।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ম্যাচে বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। ফলে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও, ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয় তাদের। ১১০ রানের ছোট পুঁঁজি নিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন শেখ মেহেদী ও শরীফুল ইসলামরা। দুজনেই সমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। উইকেট না পেলেও, মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ। ৩ ওভারে তিনি মাত্র ১৩ রান দিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
ইব্রাহিম শরীফ মুন্না
Email: [email protected]
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || SongbadSomoy.com