শরীয়তপুরের জাজিরায় দুর্ঘটনাকবলিত অ্যাম্বুলেন্সের চালক ২৬ ঘণ্টা ধরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, অ্যাম্বুলেন্স চালক রবিউল টানা ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সোমবার রাতে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। এ ঘটনায় ছয় আরোহী নিহত হন। অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন রবিউল ইসলাম, যিনি নিজেও নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলছে, রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সোমবার রাত পৌনে চারটার দিকে চলন্ত ট্রাককে ধাক্কা দিলে চালকসহ ছয়জন মারা যান। শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার ২০০ থেকে ৩০০ মিটার সামনে ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা জেনেছি, অ্যাম্বুলেন্সের চালক রবিউল টানা ২৬ ঘণ্টা ডিউটিতে ছিলেন। এ কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। সম্ভবত গাড়ি চালাতে চালাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ কারণে চলন্ত ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই চালকসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন প্রাণ হারান।’নিহত রবিউল খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনিমহল এলাকার কাওসার হাওলাদারের ছেলে। হাইওয়ে পুলিশের দাবি, রবিউল রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে ভোলায় রওনা দেন। ভোলা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বরিশাল শহরের বেলভিউ হাসপাতাল থেকে আরেক রোগী নিয়ে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় রওনা দেন। দীর্ঘ ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালানোর কারণে তার শরীর ক্লান্ত ছিল। গাড়ি চালানোর সময় তিনি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
ইব্রাহিম শরীফ মুন্না
Email: [email protected]
© 2022 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || SongbadSomoy.com